আমি আজ যা বলব তা কেবলমাত্র একজন পাঠকের তথা আমার অনুভূতির কথা বলব। হ্যাঁ, গল্প নির্মাণের জন্য গল্পের প্লট একটা অন্যতম বিষয়। তাছাড়া, শেষ হয়েও হল শেষ - এমন সমাপ্তি পাঠক চায় না। একটা মিল বা মিলনের আশা করে। কিন্তু সব গল্পে তা হয় না। তবে, লেখকের কৌশলী ধারায় বিষাদ বা বিচ্ছেদকে মেনে নেয় পাঠক। এক কথায় মানিয়ে দেওয়া হয়।
অবশ্যই পড়ুনঃ
- লেখা নিয়ে নানান মুনির নানান কথা। পাঠক ত! তাই পড়ার সুযোগ পেলে পড়ি। কারো মত, যদি লেখক হতে চাও, তাহলে তোমাকে পড়তে হবে। কত পড়তে হবে? প্রত্যুত্তর যত পারবে। তাদের মত, আগে পাঠক হও।
- আবার কেউ কেউ বলে, যদি লেখক হতে চাও, তাহলে তোমাকে জীবনকে দেখতে হবে। জানতে হবে। কিভাবে জানবে? দিনরাতের উপলব্ধির বাইরে কোন জীবিত সচল নয়। তাদের মত হয়ত, আগে জীবের কাছাকাছি থাকো, তারপর লেখ।
- পাঠক থেকে লেখকে সন্তরণ, একপক্ষের ধারণা। কিন্তু, পৃথিবীর প্রথম বই জীবন থেকেই লেখা। তারপর, ক্রমে ক্রমে বইগুচ্ছ হাতে পায়, লেখকের জন্য এক সত্তার আস্তিত্ব হয়, যারা পাঠক।বিস্তারিত পড়ুন, কোন কোন পথে অনলাইনে আয় করা সম্ভব।
তাই, প্লট নির্মাণ, খসড়া তৈরীর পর নিয়মিত সংশোধন ও সংশোধনে পাঠকদের কাছে ত্রুটিমুক্ত লেখা পরিবেশন করা যায়। তবে, সমালোচনা সহ্য করার মত মানসিকতা রাখতে হবে। পাঠকও লেখকের সাথে সমানে সমানে গল্পের মধ্যে নিজস্ব অনুরণন তোলে। সেই নেশায়, সে বই পড়ে।
অবশ্যই পড়ুনঃ
যদি অনুসরণ ও অনুকরণ সুপ্ত থাকে, তাও পাঠকের নজরে পড়ে। পাঠক হয়ে, এমন লেখা কয়েক লাইন পড়ার পর যে বিরক্তি আসে, তা সারাজীবন থাকে। তার, বই পড়তে নারাজ হয়ে যায় বা পড়ে না।
আবার, কিছু ঘটনা পর পর প্লট বন্দী করা গল্প পড়েছি। কিন্তু, পড়ে মনে হয়েছে সাংবাদিকতা করা হয়েছে, গল্প বলা হয়নি। গল্প বলা যে একটা শিল্প!
গল্প লেখা শেখাবার কেউ থাকে না, শিখে নিতে হয়।
শিখতে হলে, পড়তে হবে ও জীবনকে দেখতেও হবে। তবেই নিজস্ব ভাষায় নিজের গল্পে অন্যকে ডাকা যায়।
@ সানি
Sani