প্রসঙ্গঃ কবি ও কবিতা এবং কবিদের গুরুগিরি


বি ও কবিতা নিয়ে বহু লেখা হয়। কবিতার বহু বিবর্তন হয়েছে। এবং যা বহুমাত্রিক হলেও বহমান। বর্তমান সময়কে আধুনিক কবিতার কাল বলে বিবেচিত করা হয়। অনেকের মতে, বাংলায় আধুনিক কবিতার জনক বলা হয় মধুসূদনকে।
আবার,অপরদিকে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তকে যুগ সন্ধিকালের কবি বলা হয়। কারণ, তিনি মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগের সমন্বয় করেছেন।
তবে, কালপরম্পরায় প্রসিদ্ধ যে দুইজনের গুরুত্ব অস্বীকার করার মত পাঠক নেই, সমালোচক হয়ত রয়েছে, তারা হলেনঃ রবীন্দ্রনাথ ও কাজী নজরুল ইসলাম।  
যদিও নজরুল ও সুকান্ত ভট্টাচার্য প্রগতিশীল কবি রূপে বেশি খ্যাত। কিন্তু, ভিন্ন স্বাদের অন্যরূপ কবি হলেন বনলতা সেনের জীবনানন্দ দাশ। 
ছন্দ নিয়ে কবিতা ও ছন্দ ছাড়া কবিতা নিয়ে বহু বির্তক পড়েছি।  কোথাও বিবর্তন স্বীকৃতি পায়, কোথাও পায় না। পাওয়া বা না পাওয়া ব্যক্তিগত অনুভূতি।  কবি কতটা মায়াবী এক জগত রচনা করলেন, সে বিবেচ্য হওয়া দরকার।  
পাঠকের মনে রেখাপাত হলে কবির সাফল্য আসে। কৃতিমান কবিরা পাঠকদের কাছে নিজের শৈল্পিক কারুকাজ দিয়ে বানান কবিতা উপস্থাপন করেই কালজয়ী হয়েছেন। তবে, তাদের জীবন খুব কঠিন ছিল, অর্থনৈতিক অভাবে বেশিরভাগ শিকার হয়েছেন। আবার অনেকের মানসিক পীড়া ছিল প্রবল। কবিতা কি কষ্টে আসে? না, অনেক পুলকেও জন্মায়। জন্ম যেমনই হোক, উপস্থাপন দক্ষতা যাচাইকরণ বেশি হয়। এটাই একটা কবির কাছে বিশাল চ্যালেঞ্জ। 
পাঠক কবির কেউ না। কবি তাকে টেনে নেয়। কবির লেখার মুগ্ধতায় কবির অজান্তে কবিতার প্রচার করে। মানুষ মনের খোরাক পেলে এমনই করে। তবু বলছি, একজন কবি নিজকে পুড়িয়ে সেই নির্ষাস থেকে কবিতাকে তুলে আনে। আপনার কোন কবিকে বা বিশেষত কোন তরুণ কবি পছন্দ না হলে তাকে ভৎসনা করার অধিকার কেউ দেয়নি। তাকে, তার মত, চলতে দিন। কবিতা লেখার জন্য গুরুগৃহে যেতে হয় না। তাই, গুরুগিরি বাঞ্ছনীয় নয়। 
 কবির দ্রোণাচার্যরা বিখ্যাত নয়, বা কম পরিচিত।  মধুসূদন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত যাঁরা কালের সূচিতে বিরাজ করছে, তারা আপন মগ্নতার মুগ্ধতায় জীবিত ছিল। অনলাইনে কিভাবে রিসেল ব্যবসা সম্প্রসারণ করবেন। 
@সানি
Sani

Comments

Popular posts from this blog

Brain Drain

Navigating Poverty: Understanding, Impact, and Action

Beautiful Living and Eco-Friendly Habits