Showing posts with label Writer. Show all posts
Showing posts with label Writer. Show all posts

নিষিদ্ধ বইঃ সমরেশ বসুর প্রজাপতি নিয়ে অভিমত


একটা বই নিষিদ্ধ!  
১৭ বছর মামলা চলল। নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালতে।  
কোন বই? 
কার বই? 
সাহিত্যিক সমরেশ বসু উপন্যাস "প্রজাপতি"।
কেন নিষিদ্ধ? 
সপক্ষে যুক্তিঃ অশ্লীল। 
১৯৬৮ সালে মামলা করেন আইনজীবী অমল মিত্র। সাক্ষীদের মধ্যে  অন্যতম ছিল, তারাশঙ্কর। যদিও সে আদালতে গিয়ে সাক্ষী দেয়নি।
চলল, লেখকের লেখার বিশ্লেষণ ও শ্লীল অশ্লীলের গুনগত পার্থক্য নিরুপণ। 
লেখক যদিও এই উপন্যাসে নিজের একক মতামত প্রকাশ করেনি।কিন্তু, অশ্লীল তকমা লাগায় বিশেষ কিছু অংশ উপন্যাস থেকে বাদ দেবার নিদান আাসে। সংগে, জরিমানা। শুধু লেখকের নয়, তখনকার দেশ পত্রিকার সম্পাদকেরও।
১৯৮৫ দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে রায় হল,  প্রজাপতি নিষিদ্ধ নয়।More article : journey of library 
এবার আসি কথায়, একজন লেখক যে ভাষায় লিখেছে সেভাষা কম প্রচলিত নয়। মানুষ ত বুঝতে পেরেছিল, কিন্তু সে ভাষা লিখিত হলেই আপত্তি!  
মানলাম আপত্তি, কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট কেন সে আপত্তিকর উপন্যাসকে ছাড়পত্র দিল?
হয়ত, আপত্তিকারীদের অভিযোগ বোধ থাকলেও দূরদর্শিতা কম ছিল। অথবা,  পায়ের উপর পা তোলার মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য লেখককে আদালত থেকে আদালতে ঘুরতে হয়েছে। 
প্রজাপতি পড়ে দেখুন, উপসংহারে বলবেন, প্রজাপতির ডানা ভাঙা চেষ্টা শুধু অযুক্তিক নয়, বরং অমানবিক হীন মানসিকতার পরিচয় বাহক।
 কেন? কেন? একদল লোক এমন হয়?
খ্যাতির মানুষকে আঘাত করে পরিচিত হবার বাসনা কি! আজ ত প্রজাপতির পাঠক এখনও আছে। আঘাতকারীরাও আছে, লেখকের জীবন বৃতান্তে একদল খলনায়কের পরিচয়ে।

হয়ত, এই পরিচয় পেতেই আদালতের দারস্থ হয়েছিল। ভারতীয় দন্ড বিধির ধারা প্রয়োগ করে জরিমানা আদায়ের জন্য বিচারপতির কাছে নালিশ রেখেছিল।
প্রজাপতি রইল, বেঁচেই রইল। অন্যভাবে,  জীবন বন্দনায়। ভবিষ্যৎ স্বীকার করল।
@সানি

Sani

প্লট বন্দি করলেও গল্প হয়ে উঠে না


আমি আজ যা বলব তা কেবলমাত্র একজন পাঠকের তথা আমার অনুভূতির কথা বলব। হ্যাঁ, গল্প নির্মাণের জন্য  গল্পের প্লট একটা অন্যতম বিষয়।  তাছাড়া, শেষ হয়েও হল শেষ - এমন সমাপ্তি পাঠক চায় না। একটা মিল বা মিলনের আশা করে। কিন্তু সব গল্পে তা হয় না। তবে, লেখকের কৌশলী ধারায় বিষাদ বা বিচ্ছেদকে মেনে নেয় পাঠক। এক কথায় মানিয়ে দেওয়া হয়।
অবশ্যই পড়ুনঃ
  •  লেখা নিয়ে নানান মুনির নানান কথা। পাঠক ত! তাই পড়ার সুযোগ পেলে পড়ি। কারো মত, যদি লেখক হতে চাও, তাহলে তোমাকে পড়তে হবে। কত পড়তে হবে? প্রত্যুত্তর যত পারবে। তাদের মত, আগে পাঠক হও। 
  • আবার কেউ কেউ বলে, যদি লেখক হতে চাও,  তাহলে তোমাকে জীবনকে দেখতে হবে। জানতে হবে। কিভাবে জানবে? দিনরাতের উপলব্ধির বাইরে কোন জীবিত সচল নয়। তাদের মত হয়ত, আগে জীবের কাছাকাছি থাকো, তারপর লেখ।
  • পাঠক থেকে লেখকে সন্তরণ, একপক্ষের ধারণা। কিন্তু, পৃথিবীর প্রথম বই জীবন থেকেই লেখা। তারপর, ক্রমে ক্রমে বইগুচ্ছ হাতে পায়, লেখকের জন্য এক সত্তার আস্তিত্ব হয়, যারা পাঠক।বিস্তারিত পড়ুন, কোন কোন পথে অনলাইনে আয় করা সম্ভব।
তবে, লেখককে পড়তে হয়, ও জানতে হয় জীবন। বস্তু পরিধি বিস্তৃত না করে, বৈভবের সীমা ছাড়িয়ে কল্পনা বড়ত্বে  পাঠক খোঁজ করে। 
তাই, প্লট নির্মাণ, খসড়া তৈরীর পর নিয়মিত সংশোধন ও সংশোধনে পাঠকদের কাছে ত্রুটিমুক্ত লেখা পরিবেশন করা যায়। তবে, সমালোচনা সহ্য করার মত মানসিকতা রাখতে হবে। পাঠকও লেখকের সাথে সমানে সমানে গল্পের মধ্যে নিজস্ব অনুরণন তোলে। সেই নেশায়, সে বই পড়ে। 
যদি অনুসরণ ও অনুকরণ সুপ্ত থাকে, তাও পাঠকের নজরে পড়ে। পাঠক হয়ে,  এমন লেখা কয়েক লাইন পড়ার পর যে বিরক্তি আসে, তা সারাজীবন থাকে। তার, বই পড়তে নারাজ হয়ে যায় বা পড়ে না।
আবার, কিছু ঘটনা পর পর প্লট বন্দী করা গল্প পড়েছি। কিন্তু, পড়ে মনে হয়েছে সাংবাদিকতা করা হয়েছে, গল্প বলা হয়নি।  গল্প বলা যে একটা শিল্প!
গল্প লেখা শেখাবার কেউ থাকে না, শিখে নিতে হয়। 
শিখতে হলে,  পড়তে হবে ও জীবনকে দেখতেও হবে। তবেই নিজস্ব ভাষায় নিজের গল্পে অন্যকে ডাকা যায়।
@ সানি
Sani

পুস্তক বা বই সমালোচনা (Book Review) এর হাল বেহাল

বই যখন লেখক লেখে তখন তার সর্বোচ্চ পরিসর দাপিয়ে নির্মাণ কর্ম সমাপ্ত করে। আপ্রাণ চেষ্টা করে কোথাও কোন ত্রুটি না থাকে। ত্রুটি বিষয়টাকে আমার পরম সত্য বলে মনে হয় না, বড্ড আপেক্ষিক। বিশেষত, সাহিত্যের বিচরণক্ষেত্রে।
পুস্তক সমালোচনার উদ্দেশ্য কি? 
নানা মুনির নানান মত রয়েছে। তবে, মূল উদ্দেশ্য হলঃ 
১. বইয়ের গুনগত মান উন্নয়ন 
২. বইয়ের প্রচার বিজ্ঞাপন 
৩. বই নির্বাচনে গ্রন্থাগারিকদের সহায়তা করা।
তবে, একজন সমালোচক ধনাত্মক ও ঋণাত্মক উভয়দিকেই প্রসারিত হবে। কিন্তু, অনেক সময় নিন্দুকের মত একপেশে সমালোচনা হয়। আবার, বিপরীতধর্মীও হয়। প্রসংশা মখর
। সমালোচক বইয়ের মান নির্ণয় করতে এসে নিজের নিয়ন্ত্রণ, শালীনতা ও তোষামুদে  আচরণ লুকাতে পারে না। অথচ, নিরপেক্ষতার দাবীদার বলে জাহির করেন।
এই সমালোচনা দুটো ধারায় দেখেছিঃ
ক. লিখিত সমালোচনা
(যা মাসিক, সাপ্তাহিক, দৈনিক  পত্র পত্রিকা প্রকাশিত হয়। তবে, এখানে গুনগত মান যথেষ্ট ভালোভাবেই নিরূপণ করা হয়।)
খ. মৌখিক সমালোচনা 
( যত গাত্র দাহ এখানে। মৌলিক কিছু বলার যে উন্মুক্ত মন দরকার তা সবার থাকে না। দমনমূলক কূট উক্তি বা কু কথা বা মিথ্যে সাবাসি দেওয়ার নজির কম নেই।)
আজ আমার অবাক লাগে যখন 
You Tube or others Social media তে পুস্তক সমালোচনা বা Book Review দেখি।
দেখে যা মনে হয়েছে, বেশিরভাগ উপস্থাপক বা উপস্থাপিকা পাঠক নয়। যে বইটার সমালোচনা সে করতে এসেছে সেই বইটা সে পড়েনি। তাই, মূল্যায়ণ করার দক্ষতা দেখাতে অক্ষম। বই ও বই নির্মাণের খুঁত প্রদর্শণ হয় না। লেখনি শৈলী নিয়ে কথা হয় না। তাদের নিরপেক্ষ উপস্থাপন নেই। এক কথায়, এগুলো পুস্তক সমালোচনা নয়, পণ্য বিজ্ঞাপন বলতেই পারি। বলতে পারি, বইটা বাজারে এসেছে, তা অবগত করা হল। 
তবে, পুস্তক সমালোচনার উপর সমালোচনা নয়, কথাটা বলছি কেন? যারা সস্তায় কিছু মানুষের কাছে পৌঁছাতে একটা ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করে,তাদের একটু পরিমার্জিত হবার আবেদন। বই পড়ুন, পড়ে অনুভূতি জানান। 
অবশ্যই পড়ুনঃ
কয়েকদিন আগে, একজনের রিভিউ দেখছিলাম। দেখলাম, প্রকাশকের নাম, দাম, আর কার লেখা বলল। এটাই প্রথম পর্বে বলা উচিত। কিন্তু, পরবর্তী পর্বে বই নিয়ে কোন কথা হল। লেখককে সম্মোধন করল, ভাইয়া বলে। আপত্তি নেই। বোন দাদার বইয়ের রিভিউ করতেই পারে। কিন্তু, না। অল্পক্ষণের মধ্যে বিষয় থেকে কক্ষচ্যুত হল। শুরু হল, কিছু প্রত্যহিকী ও লেখকের সঙ্গে বিশেষ কিছু মূহুর্ত। 
বন্ধ হোক এমন রিভিউ।  বলুক, এই ভিডিওটা একটা বই বিজ্ঞাপন, রিভিউ নয়।
অন্যথায়, বই পড়ুন। অতঃপর,  রিভিউ করুন।  
by Sani

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা : চতুরঙ্গে

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা : চতুরঙ্গে
poet
Shakti
Chattopadhyay
 



চতুরঙ্গে
- শক্তি চট্টোপাধ্যায়

খুব বেশি দিন বাঁচবো না আমি বাঁচতে চাই না
শস্য ফুটলে আমি নেবাে তার মুগ্ন দৃশ্য
নিজ গৃহে প্ৰজা বসিয়েছি প্রায়ান্ধকার
কিছু কিছু নেবে কিছুদিন বেশি বাঁচতে চাই না।

এই অপরূপ পৃথিবী , সেদিকে যাব না মিথ্যা
বাসনা যেমন চঞ্চল তার নিশানা জানি না।
রমণী কখন প্রিয় করে হা রে হৃদয় জানে কি ?
তবু বেশি দিন বাঁচবাে না আমি বাঁচতে চাই না।

শুধু যা দৃশ্য, অন্তঃস্থল যে খোঁড়ে খুঁডুক
ভাসমান নদী ভাসাও নৌকা ভাসাও নৌকা
যৌবন যায়, চলে যাব আমি ; চাষা বা ডুবুরি
ক্ষেতে সংসারে অক্ষয় বাঁচো দৃঢ় জলৌকা।

আহা বেশি দিন বাঁচবাে না আমি বাঁচতে চাই না
কে চাইবে রােদ আর্চিতা অনল, কে চিরবৃষ্টি ? অভিজ্ঞতা বাড়ায় পৃথিবী, বাড়ায় শান্তি
প্রাচীন বয়সে দুঃখশ্লোক গাইবাে না আমি গাইতে চাই না।

* আমাদের অন্যান্য পোস্ট পড়তে ক্লিক করুনঃ 

Sani

Ferari publication (ফেরারী পাবলিকেশন)

ferari publication *লেখা আহ্বান*

*১০০ জন কবির কবিতা সংকলন*

(নববর্ষ সংখ্যা)।

লেখা পাঠানোর নিয়মাবলী:-

1)যে কোনো বিষয়ে নিজস্ব ভাবনা (কবিতা 20 লাইনের মধ্যে একটি) ।

2)অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে।

3)লেখাটি মৌলিক হতে হবে ।

4) লেখা মনোনীত হলে whatsapp এ জানিয়ে দেওয়া হবে।

5) রাজনৈতিক এবং ধর্মীয়  ভাবে আঘাত পাবে এমন বিষয়ে লেখা গ্ৰহণ করা হবে না ।

6) শব্দের বানান ও ব্যাকরণ গত দিক থেকে যত্নশীল হতে হবে ।

7) কবিদের দুই কপি সংকলন শুভেচ্ছা মূল্যের বিনিময়ে নিতে হবে । শুভেচ্ছা মূল্য কত পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে ।

8) online এ পাবেন, আপনার প্রকাশিত লেখা।

9) যদি কুরিয়ারের মাধ্যমে সংকলন চান তবে  কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হবে। সেক্ষেত্রে কুরিয়ারের খরচ লেখক লেখিকাকে খরচ বহন করতে হবে।

10) লেখা টাইপ করে whatsapp   এই  ৯০০২৭৮২০৩৭/ ৭৩৬৩৯৪৪৩৩৭ নাম্বারে বা সংবাদ ৭ দিনের ডাক ঠিকানায় পাঠাতে হবে।

11) কবির সম্পূর্ণ ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দিতে হবে। 

12) সংকলন প্রকাশের অনুষ্ঠান কোথায় কখন হবে তা ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হবে ।


*ফেরারী প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত সংবাদ ৭ দিনের  বিশেষ পরিবেশনায় ১০০কবির কবিতা লিপিবদ্ধ করা হবে নববর্ষ সংখ্যায়*।

আমাদের whatsapp group : https://chat.whatsapp.com/GYJ4QmhqZD37s4Y76y4ju1




Sani

Today's work

Exploring the Phenomenon of RVNL: A Success Story in the Indian Stock Market

Rail Vikas Nigam Limited (RVNL) has emerged as a shining star in the Indian stock market, showcasing remarkable growth and delivering substa...