শেষের দেখা
কত যে গেল দিন হারিয়ে!
পাইনি তাকে ক্ষত সারিয়ে।
গহয়তো তাই তোলেনি ঢেউ
সাদা পাতায় আঁকেনি কেউ
সরোবরের নীলচে জল
স্নিগ্ধ রাগের চোখের ছল।
বলো তো কিসের কিস্তিমাত!
পাছায় ফোটায় রাষ্ট্র দাঁত।
এই কি সেই বায়ু মহল?
ভাঙা কাঁচ; চুপ কোলাহল।
তাসের দেশের খুনসুটি
আজব আইন চুনোপুঁটি
মরছে মানুষ বীর যোদ্ধা
কিসের অহং? কী স্পর্ধা?
রক্তেলেখা সাহেব বেগম
মেলছে সুখে লাল পেখম।
গাইছে পাখি; চলছে খোঁজ
খাঁচায় পুরে ডাণ্ডা গোঁজ।
হিসাব ছিল নকশা ছিল
সাগর শুকালে বর্ষা ছিল
পাথেয় ছিল পাহাড় বাড়ি
উত্তরাশায় দিলাম পাড়ি।
বেচেছে মাঠ বেচেছে ঘাট
পড়া ফেলে লুটেরার পাঠ।
খুব যে সেদিন ফেললে জাল
ঘুরল মাথা সামলে টাল।
কথকতার মিঠা আতর
ছিলাম কদিন জ্বর-কাতর।
এই তো বৃক্ষ এই চরাচর
চেয়ে থাকো চোখ বরাবর।
তারার ধুলোয় পথের রেখা
শেষের শেষে হবেই দেখা।
বজবজ, দক্ষিণ ২৪ পরগণা।
কোলকাতা-১৩৭