১৭ বছর মামলা চলল। নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালতে।
কোন বই?
কার বই?
সাহিত্যিক সমরেশ বসু উপন্যাস "প্রজাপতি"।
কেন নিষিদ্ধ?
সপক্ষে যুক্তিঃ অশ্লীল।
১৯৬৮ সালে মামলা করেন আইনজীবী অমল মিত্র। সাক্ষীদের মধ্যে অন্যতম ছিল, তারাশঙ্কর। যদিও সে আদালতে গিয়ে সাক্ষী দেয়নি।
চলল, লেখকের লেখার বিশ্লেষণ ও শ্লীল অশ্লীলের গুনগত পার্থক্য নিরুপণ।
লেখক যদিও এই উপন্যাসে নিজের একক মতামত প্রকাশ করেনি।কিন্তু, অশ্লীল তকমা লাগায় বিশেষ কিছু অংশ উপন্যাস থেকে বাদ দেবার নিদান আাসে। সংগে, জরিমানা। শুধু লেখকের নয়, তখনকার দেশ পত্রিকার সম্পাদকেরও।
এবার আসি কথায়, একজন লেখক যে ভাষায় লিখেছে সেভাষা কম প্রচলিত নয়। মানুষ ত বুঝতে পেরেছিল, কিন্তু সে ভাষা লিখিত হলেই আপত্তি!
মানলাম আপত্তি, কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট কেন সে আপত্তিকর উপন্যাসকে ছাড়পত্র দিল?
হয়ত, আপত্তিকারীদের অভিযোগ বোধ থাকলেও দূরদর্শিতা কম ছিল। অথবা, পায়ের উপর পা তোলার মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য লেখককে আদালত থেকে আদালতে ঘুরতে হয়েছে।
প্রজাপতি পড়ে দেখুন, উপসংহারে বলবেন, প্রজাপতির ডানা ভাঙা চেষ্টা শুধু অযুক্তিক নয়, বরং অমানবিক হীন মানসিকতার পরিচয় বাহক।
কেন? কেন? একদল লোক এমন হয়?
খ্যাতির মানুষকে আঘাত করে পরিচিত হবার বাসনা কি! আজ ত প্রজাপতির পাঠক এখনও আছে। আঘাতকারীরাও আছে, লেখকের জীবন বৃতান্তে একদল খলনায়কের পরিচয়ে।
হয়ত, এই পরিচয় পেতেই আদালতের দারস্থ হয়েছিল। ভারতীয় দন্ড বিধির ধারা প্রয়োগ করে জরিমানা আদায়ের জন্য বিচারপতির কাছে নালিশ রেখেছিল।
প্রজাপতি রইল, বেঁচেই রইল। অন্যভাবে, জীবন বন্দনায়। ভবিষ্যৎ স্বীকার করল।
@সানি
Sani