শোভাবাজারের রাজা বনাম সিরাজউদৌল্লাঃ একটি বিশ্বাসঘাতকের আখ্যান
![]() |
শোভাবাজার রাজবাড়ী |
দেশজ কিছু বিশ্বাসঘাতকের জন্য বাংলায় সিরাজ পরাজিত হয়েছিল, একথা আমরা সবাই জানি। বহুল প্রচারিত মীর জাফর। আজও একটা চর্চিত বিষয়। অপরাধী যে তাকে কেউ গোপন করতে পারে না। গোপন থাকে না পাপ। মীরজাফরের সঙ্গী সাথিরা কম প্রচার পেয়েছে। বিশ্বাসঘাতক মানেই সে কথিত বা চিহ্নিত হয় মীরজাফর নামে।
কিন্তু ইতিহাসের পাতায়,শোভাবাজার রাজবাড়ীর রাজা নব কৃষ্ণ দেবও কমকিছু নয়, তবু যেন সে অবচেতনভাবে কোন দূরে বিনিদ্রত। কালের গুঞ্জনে তাকেও আতস কাঁচ দিয়ে দেখা হবে। সিরাজকে সিংহাসনচ্যুত করতে সেও গোপনে গোপনে ইংরেজদের সহায়তা করেছিল।
অবশ্যই পড়ুনঃ
শুধু কি তাই! সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল।
সালটা ১৭৫৬ সিরাজ কোলকাতা থেকে ইংরেজদের বিতাড়িত করল। ওই সময়, খবর ও খাবার- দুটোই সরবরাহ করত নবকৃষ্ণ বহিরাগত শত্রু তথা ইংরেজদের।
ব্যক্তিস্বার্থ! চরিতার্থের জন্য।
তারপর, পরের বছরের পলাশীযুদ্ধে মীরজাফরের মীরজাফরিতে ইংরেজদের কপাল খুলল।
ক্লাইড সন্তুষ্ট।
পলাশীর যুদ্ধের জয় উদযাপনের জন্য শোভাবাজারের রাজা নবকৃষ্ণ আত্ম শোভাবর্ধকের নিমিত্তে রাজবাড়ীতে দূর্গাপূজা করেছিল।
এবার, বিশ্বাসঘাতকদের নির্মিত প্রভুর কাছে নবকৃষ্ণ নিজের জন্য গুইগুই শুরু করল। দেখাল, নিজের পাণ্ডিত্য। কয়েকদিনের মধ্যেই হয়ে উঠল, হেস্টিংস-এর মুন্সি।
বাংলাকে, বাংলার মানুষকে চিনিয়ে দিল ইংরেজদের। নবকৃষ্ণদের মত লোকরা গোলামি করে রাজত্ব কয়েম করেছিল- এ কথা বললে অত্যুক্তি করা হবে না। গদ্দার গদ্দারই!
@সানি
Sani
Comments
Post a Comment
if u have a doubt the contact with me.