বাংলার রাজনীতি ১

কি মন্দ হবে কেউ জানে না। শুধু আমরা করব জয়। জয় ত হবে, জয়ীরা কি পারবে মানুষের প্রত্যাশার পৃথিবী বানতে?? পেরেছে! সেই ত সেই, হবে। তবু মানুষ বলে চলেছে খেলা হবে।
কি খেলা? 
খেলা চলছে। ফলাফল বের হলে বোঝা যাবে খেলাটা কি ছিল? 
Sani

Sakthi chattapadaya poem

আসছো কবে?
- শক্তি চট্টোপাধ্যায় 

রোরো নদীর ধার থেকে ঐ একটি বালক
কুড়িয়ে পেয়েছিলো রঙিন বুকের পালক
এবং একটি পাথর পেয়ে, সেই পালকে
জড়িয়ে ছুঁড়ে দিয়েছিলো এপার থেকে
পালক কি আর একাকিনী ওপার যাবে?

যম-কালো এক মরদ ছিলো নদীর ওপার।
দেখাচ্ছিলো তার ভাগে লাল মোরগঝুঁটি,
বালক দ্যাখে, অনেকগুলি দাগ ও-খুঁটির-
তফাৎ কি আর অমনি হবে?

কুড়িয়ে পেয়ে ছড়িয়ে দিলুম বুকের পালক
- আসছো কবে? আসছো কবে?  আসছো কবে?
Sani

কবি সেখ ওয়াসিম গুল এর কবিতাঃ শেষের দেখা


Poet Sk Washim Gul

সেখ ওয়াসিম গুল এর কবিতাঃ

শেষের দেখা  

কত যে গেল দিন হারিয়ে! 
পাইনি তাকে ক্ষত সারিয়ে। 
গহয়তো তাই তোলেনি ঢেউ
সাদা পাতায় আঁকেনি কেউ
সরোবরের নীলচে জল
স্নিগ্ধ রাগের চোখের ছল। 
বলো তো কিসের কিস্তিমাত! 
পাছায় ফোটায় রাষ্ট্র দাঁত। 
এই কি সেই বায়ু মহল?
ভাঙা কাঁচ; চুপ কোলাহল। 
তাসের দেশের খুনসুটি 
আজব আইন চুনোপুঁটি 
মরছে মানুষ বীর যোদ্ধা 
কিসের অহং? কী স্পর্ধা? 
রক্তেলেখা সাহেব বেগম 
মেলছে সুখে লাল পেখম। 
গাইছে পাখি; চলছে খোঁজ
খাঁচায় পুরে ডাণ্ডা গোঁজ। 
হিসাব ছিল নকশা ছিল 
সাগর শুকালে বর্ষা ছিল 
পাথেয় ছিল পাহাড় বাড়ি 
উত্তরাশায় দিলাম পাড়ি। 
বেচেছে মাঠ বেচেছে ঘাট
পড়া ফেলে লুটেরার পাঠ। 
খুব যে সেদিন ফেললে জাল
ঘুরল মাথা সামলে টাল। 
কথকতার মিঠা আতর
ছিলাম কদিন জ্বর-কাতর। 
এই তো বৃক্ষ এই চরাচর 
চেয়ে থাকো চোখ বরাবর। 
তারার ধুলোয় পথের রেখা 
শেষের শেষে হবেই দেখা।


বজবজ, দক্ষিণ ২৪ পরগণা। 
কোলকাতা-১৩৭
Sani

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা : চতুরঙ্গে

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা : চতুরঙ্গে
poet
Shakti
Chattopadhyay
 



চতুরঙ্গে
- শক্তি চট্টোপাধ্যায়

খুব বেশি দিন বাঁচবো না আমি বাঁচতে চাই না
শস্য ফুটলে আমি নেবাে তার মুগ্ন দৃশ্য
নিজ গৃহে প্ৰজা বসিয়েছি প্রায়ান্ধকার
কিছু কিছু নেবে কিছুদিন বেশি বাঁচতে চাই না।

এই অপরূপ পৃথিবী , সেদিকে যাব না মিথ্যা
বাসনা যেমন চঞ্চল তার নিশানা জানি না।
রমণী কখন প্রিয় করে হা রে হৃদয় জানে কি ?
তবু বেশি দিন বাঁচবাে না আমি বাঁচতে চাই না।

শুধু যা দৃশ্য, অন্তঃস্থল যে খোঁড়ে খুঁডুক
ভাসমান নদী ভাসাও নৌকা ভাসাও নৌকা
যৌবন যায়, চলে যাব আমি ; চাষা বা ডুবুরি
ক্ষেতে সংসারে অক্ষয় বাঁচো দৃঢ় জলৌকা।

আহা বেশি দিন বাঁচবাে না আমি বাঁচতে চাই না
কে চাইবে রােদ আর্চিতা অনল, কে চিরবৃষ্টি ? অভিজ্ঞতা বাড়ায় পৃথিবী, বাড়ায় শান্তি
প্রাচীন বয়সে দুঃখশ্লোক গাইবাে না আমি গাইতে চাই না।

* আমাদের অন্যান্য পোস্ট পড়তে ক্লিক করুনঃ 

Sani

৫জি কী? What is 5G?


বর্তমানে বাজারে আসতে চলেছে কিছু নতুন স্মার্ট ফোন। 
এগুলিতে সব ৫জি cellular technology প্রয়োগ করা হবে। তবে, এ প্রসঙ্গে বলা হচ্ছে  ৫জি নেটওয়ার্ক  স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
৫জি DNA কে নষ্ট করে দেয়। ফলে আমাদের ক্যান্সারও হতে পারে, বা আরো অনেক কিছু আনুষঙ্গিক রোগ ।
৫জি কী? What is 5G?
৫জি আর কিছুদিনের মধ্যে সহজ লভ্য হবে , কিন্তু AT&T, Verizon কোম্পানি ৫জি এর cellular technology এর কাজ শুরু করে দিয়েছে। এই 5th generation mobile  এলে ইন্টার নেট পরিষেবা বাড়বে, লাভ হবে। কিন্তু শরীর ও জীব বৈচিত্র্যে নানা বিধ পরিবর্তন আসবে।
তাই, 5th generation mobile এর সুফল ও কুফল নিয়ে চলতে হবে।


Sani

ধর্ম ব্যবসায়ীদোর বিপক্ষে দুচার কথা


ধর্ম ব্যবসায়ীদের ভন্ডামির মাত্রা বিবিধ ধারায় বিভক্ত। কি না করে আত্ম সুখ হননের জন্য। এখন তাদের রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ মানুষ নাকাল। সাধারণত, তারা কিছু নয়। কিন্তু নিজেকে মহান দেখাবার প্রাণপণ ভন্ডামির লড়াই করছে।
বিশেষত, মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে এই প্রকোপ প্রবল হচ্ছে।
শুধু জন্মসূত্রে সাহেবজাদা বা পীরজাদা হলেই  হল। তার জয়ধ্বনি দিয়ে অশিক্ষিত মূর্খ পাল দিনে দিনে সমাজকে আসাড় করছে। আগতরা আরও বিপন্ন হবে সে ব্যপারে কোন মাথাব্যাথা নেই।
উসকানিমূলক কথা, একে অপরের নিন্দা ছাড়া ওয়াজের বিষয়বস্তু কি আর থাকে! সবাই জানে।
আগামীদিনে, মানুষ এই ধর্ম ব্যবসায়িদের কথা শুনবে না। মূল বিপদ তারা আনতে চায়। ভন্ডামি থাকলে বর্জন করুন,তাদের।
Sani

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতাঃব্যক্তিগত নক্ষত্রমালা

ব্যক্তিগত নক্ষত্রমালা by soumitra Chatterjee 

ব্যক্তিগত নক্ষত্রমালা
- সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
Soumitra Chatterjee


ভালোবাসা মানেই কেবলই যাওয়া
যেখানেই থাকি না কেন
উঠে পড়া
পেয়ে গেলে নিকটতম যান
কলকাতা কিছুতেই ফুরতে চায় না
কোনো রাস্তা ফুরতে চায় না
কখনও তুমি মিনিবাস ধরে নেবে
আমি ঝংকার দেওয়া ট্রাম—
তারপর থেকে কেবলই যাওয়া
কাছ থেকে অনেক দূরে
কিংবা সময় ঠিক করা থাকলে কাছে আসা
ক্যাথিড্রালের দুর্লভ ঘণ্টা বাজছে
সখ্যতায় ভরে উঠেছে ময়দান
মাঘের বিকেলে।
এক চিলতে গলি তারই নাম সুখ
তারই অন্ধকারে
আমি স্পর্শ করেছিলাম তোমার দিব্য চিবুক—
সঙ্গে সঙ্গে শৈলসানু আঁধার হয়ে এল
গোলপাতা ছাউনির ঘর
শীতরাত্রির স্বপ্ন ক’টি মুড়িসুড়ি দিয়ে বসে গেছে
শীলাতল
ব্যগ্র হয়ে কেড়ে নিচ্ছে উত্তাপ কোমল
দু’জনের থেকে—
তোমার চিবুক স্পর্শ ক’রে কতদূর আমরা যেতে পারি
এক চিলতে গলি তারই নাম সুখ
তারই অন্ধকারে
স্বপ্ন থেকে স্বপ্নে প্রস্থান আলবৎ সম্ভব
অথবা দুঃখের ভিতর থেকে আরো দুঃখের ভিতর
নিয়ে যেতে পারে
ভালোবাসা
ভালোবাসা মানে কেবলই যাওয়া
কোলকাতা রোল করা গালিচার মত কেবলই খুলে
যাচ্ছে কেবলই
আমাদের পায়ের নিচে
ফুরোচ্ছে না।
তবু ভালোবাসা ফুরায়ে গেলে
আমি অপ্রেম থেকে চলে যাব ব’লে
অভিমানে বাসস্টপে এসে হাত নেড়ে ডাকি
ভালোবাসা কখনও কখনও চলে যাওয়া
ঘর গ’ড়ে ঘর ভেঙে ফেলা
তারপর উঠে পড়া
পেয়ে গেলে নিকটতম ট্রাম
পড়ে থাক রাজবংশ বৈভব যা কিছু
সব ছেড়ে চলে যেতে পারে শুধু ভালোবাসাই—
সেই কোনোদিন
ফিরে এসে তাকাতে পারে অকপটে অনিমেষ
ক্যাথিড্রালে ঘণ্টা বাজলেই
কিনতে থাকবে মুহূর্ত এন্তার
একরাশ ব্যক্তিগত নীল নক্ষত্রমালা।
Sani

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতাঃপড়ন্ত ছায়ার মধ্যে

অভিনেতা কবি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা বাংলা কবিতা ঃ

পড়ন্ত ছায়ার মধ্যে
              -- সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

পেছন থেকে কে চিৎকার করে উঠতেই
আমি দাঁড়িয়ে পড়লাম
 
ঝিলের মধ্যে আকাশ গা ডুবিয়ে রয়েছে
অতিকায় নিমবাস মেঘ
স্তম্ভিত প্রতিবিম্বে
বনপথে শরৎ ছিল বা
বিবিশ গন্ধের মধ্যে মনে পড়ে।
 
কটা বাজে কে জানে
ঘড়ির একটা দাগও স্পষ্ট নেই এতদিনে
কোথায় কোথায় আয়েস পরিতৃপ্তি লিপ্সা ছিল
সব কটি দাগ মুছে গেছে
আন্দাজে কিছু বলা ঠিক হবে না তো,
কৈফিয়ত আফসোস
এই মুহূর্তে এসবের কোনো দাম নেই।
 
ভারী, দামী পাথরের টুকরোর মত সময়কে
ঢালু জমির ওপর গড়িয়ে যেতে দেখছি
জলের দিকে গড়িয়ে যাচ্ছে,
অনতিপ্রদোষের মধ্যে
সব ছবিগুলো ডুবে যাবে
ঝিল, জলের ভিতরে ছায়া আকাশনিমের।
কার মুখ দেখা যাবে
আততায়ী অত্যাচারী কিনা
এই সবই পড়ন্ত ছায়ার মধ্যে সন্ধান করেছিলাম
ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে যে সামনে এসে দাঁড়াল
সে আমার এতগুলি বছরের নিঃসঙ্গতা
হাস্যকর ভাঁড়ের পোশাকে।
Sani

যে একটি গুন থাকলে আপনি ইংরাজি বলতে পারবেন

যে একটি গুন থাকলে আপনি ইংরাজি বলতে পারবেন, সেটা জানার জন্য নিচের ভিডিওটা দেখুনঃ
উপকৃত হবেন।
Sani

To develop the feature of facebook on the issues of community standards for the misusing of press report on a post by the url link after shear.

Facebook এ কয়েকজন মানুষ মিলে একটা পোস্টে report মারলে সেই url আর shear করা যায় না। যা দেখায়, তা হল facebook এর community standard violation হয়েছে।


facebook

কিন্তু কিছু মানুষ বিশেষত রাজনৈতিক চিন্তাধারায় ক্ষুণ্ণ হলেইএই কাজটা করছে। এমন কি whatapp group এ link shear করে অন্যদের report করার আবেদন করছে। ফলে একটা ব্লগের url আর shear করা যাচ্ছে না। স্বাধীন মতামত দেওয়াতে বাধা। শাসক পক্ষের কথা বা বিপক্ষে থাকা~ এই দুই অবস্থান দরকার।  

এই নিয়ে facebook এর একটু নজরদারি বাড়ন দরকার। আদেও পোস্টটা spam কিনা দেখা উচিত।

 content কি দেখে সিদ্ধান্ত নিলে বা বিকল্প পথ প্রকাশ করা দরকার। তাহলে উপকৃত হবে, যারা online field এ কাজ করছে।  

Sani

Today's work

Exploring the Phenomenon of RVNL: A Success Story in the Indian Stock Market

Rail Vikas Nigam Limited (RVNL) has emerged as a shining star in the Indian stock market, showcasing remarkable growth and delivering substa...