Posts

Sakthi chattapadaya poem

আসছো কবে? - শক্তি চট্টোপাধ্যায়  রোরো নদীর ধার থেকে ঐ একটি বালক কুড়িয়ে পেয়েছিলো রঙিন বুকের পালক এবং একটি পাথর পেয়ে, সেই পালকে জড়িয়ে ছুঁড়ে দিয়েছিলো এপার থেকে পালক কি আর একাকিনী ওপার যাবে? যম-কালো এক মরদ ছিলো নদীর ওপার। দেখাচ্ছিলো তার ভাগে লাল মোরগঝুঁটি, বালক দ্যাখে, অনেকগুলি দাগ ও-খুঁটির- তফাৎ কি আর অমনি হবে? কুড়িয়ে পেয়ে ছড়িয়ে দিলুম বুকের পালক - আসছো কবে? আসছো কবে?  আসছো কবে? Sani

Uttam sumitra jointly in which cinema?

Devdas Sani

কবি সেখ ওয়াসিম গুল এর কবিতাঃ শেষের দেখা

Image
Poet Sk Washim Gul সেখ ওয়াসিম গুল এর কবিতাঃ শেষের দেখা   কত যে গেল দিন হারিয়ে!  পাইনি তাকে ক্ষত সারিয়ে।  গহয়তো তাই তোলেনি ঢেউ সাদা পাতায় আঁকেনি কেউ সরোবরের নীলচে জল স্নিগ্ধ রাগের চোখের ছল।  বলো তো কিসের কিস্তিমাত!  পাছায় ফোটায় রাষ্ট্র দাঁত।  এই কি সেই বায়ু মহল? ভাঙা কাঁচ; চুপ কোলাহল।  তাসের দেশের খুনসুটি  আজব আইন চুনোপুঁটি  মরছে মানুষ বীর যোদ্ধা  কিসের অহং? কী স্পর্ধা?  রক্তেলেখা সাহেব বেগম  মেলছে সুখে লাল পেখম।  গাইছে পাখি; চলছে খোঁজ খাঁচায় পুরে ডাণ্ডা গোঁজ।  হিসাব ছিল নকশা ছিল  সাগর শুকালে বর্ষা ছিল  পাথেয় ছিল পাহাড় বাড়ি  উত্তরাশায় দিলাম পাড়ি।  বেচেছে মাঠ বেচেছে ঘাট পড়া ফেলে লুটেরার পাঠ।  খুব যে সেদিন ফেললে জাল ঘুরল মাথা সামলে টাল।  কথকতার মিঠা আতর ছিলাম কদিন জ্বর-কাতর।  এই তো বৃক্ষ এই চরাচর  চেয়ে থাকো চোখ বরাবর।  তারার ধুলোয় পথের রেখা  শেষের শেষে হবেই দেখা। বজবজ, দক্ষিণ ২৪ পরগণা।  কোলকাতা-১৩৭ Sani

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা : চতুরঙ্গে

Image
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা : চতুরঙ্গে poet Shakti Chattopadhyay   চতুরঙ্গে - শক্তি চট্টোপাধ্যায় খুব বেশি দিন বাঁচবো না আমি বাঁচতে চাই না শস্য ফুটলে আমি নেবাে তার মুগ্ন দৃশ্য নিজ গৃহে প্ৰজা বসিয়েছি প্রায়ান্ধকার কিছু কিছু নেবে কিছুদিন বেশি বাঁচতে চাই না। এই অপরূপ পৃথিবী , সেদিকে যাব না মিথ্যা বাসনা যেমন চঞ্চল তার নিশানা জানি না। রমণী কখন প্রিয় করে হা রে হৃদয় জানে কি ? তবু বেশি দিন বাঁচবাে না আমি বাঁচতে চাই না। শুধু যা দৃশ্য, অন্তঃস্থল যে খোঁড়ে খুঁডুক ভাসমান নদী ভাসাও নৌকা ভাসাও নৌকা যৌবন যায়, চলে যাব আমি ; চাষা বা ডুবুরি ক্ষেতে সংসারে অক্ষয় বাঁচো দৃঢ় জলৌকা। আহা বেশি দিন বাঁচবাে না আমি বাঁচতে চাই না কে চাইবে রােদ আর্চিতা অনল, কে চিরবৃষ্টি ? অভিজ্ঞতা বাড়ায় পৃথিবী, বাড়ায় শান্তি প্রাচীন বয়সে দুঃখশ্লোক গাইবাে না আমি গাইতে চাই না। * আমাদের অন্যান্য পোস্ট পড়তে ক্লিক করুনঃ  www.foursquare2u.blogspot.com Sani

৫জি কী? What is 5G?

Image
বর্তমানে বাজারে আসতে চলেছে কিছু নতুন স্মার্ট ফোন।  এগুলিতে সব ৫জি cellular technology প্রয়োগ করা হবে। তবে, এ প্রসঙ্গে বলা হচ্ছে  ৫জি নেটওয়ার্ক  স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। ৫জি DNA কে নষ্ট করে দেয়। ফলে আমাদের ক্যান্সারও হতে পারে, বা আরো অনেক কিছু আনুষঙ্গিক রোগ । ৫জি কী? What is 5G? ৫জি আর কিছুদিনের মধ্যে সহজ লভ্য হবে , কিন্তু AT&T, Verizon কোম্পানি ৫জি এর cellular technology এর কাজ শুরু করে দিয়েছে। এই 5th generation mobile  এলে ইন্টার নেট পরিষেবা বাড়বে, লাভ হবে। কিন্তু শরীর ও জীব বৈচিত্র্যে নানা বিধ পরিবর্তন আসবে। তাই, 5th generation mobile এর সুফল ও কুফল নিয়ে চলতে হবে। Sani

ধর্ম ব্যবসায়ীদোর বিপক্ষে দুচার কথা

Image
ধর্ম ব্যবসায়ীদের ভন্ডামির মাত্রা বিবিধ ধারায় বিভক্ত। কি না করে আত্ম সুখ হননের জন্য। এখন তাদের রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ মানুষ নাকাল। সাধারণত, তারা কিছু নয়। কিন্তু নিজেকে মহান দেখাবার প্রাণপণ ভন্ডামির লড়াই করছে। বিশেষত, মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে এই প্রকোপ প্রবল হচ্ছে। শুধু জন্মসূত্রে সাহেবজাদা বা পীরজাদা হলেই  হল। তার জয়ধ্বনি দিয়ে অশিক্ষিত মূর্খ পাল দিনে দিনে সমাজকে আসাড় করছে। আগতরা আরও বিপন্ন হবে সে ব্যপারে কোন মাথাব্যাথা নেই। উসকানিমূলক কথা, একে অপরের নিন্দা ছাড়া ওয়াজের বিষয়বস্তু কি আর থাকে! সবাই জানে। আগামীদিনে, মানুষ এই ধর্ম ব্যবসায়িদের কথা শুনবে না। মূল বিপদ তারা আনতে চায়। ভন্ডামি থাকলে বর্জন করুন,তাদের। Sani

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতাঃব্যক্তিগত নক্ষত্রমালা

Image
ব্যক্তিগত নক্ষত্রমালা by soumitra Chatterjee  ব্যক্তিগত নক্ষত্রমালা - সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ভালোবাসা মানেই কেবলই যাওয়া যেখানেই থাকি না কেন উঠে পড়া পেয়ে গেলে নিকটতম যান কলকাতা কিছুতেই ফুরতে চায় না কোনো রাস্তা ফুরতে চায় না কখনও তুমি মিনিবাস ধরে নেবে আমি ঝংকার দেওয়া ট্রাম— তারপর থেকে কেবলই যাওয়া কাছ থেকে অনেক দূরে কিংবা সময় ঠিক করা থাকলে কাছে আসা ক্যাথিড্রালের দুর্লভ ঘণ্টা বাজছে সখ্যতায় ভরে উঠেছে ময়দান মাঘের বিকেলে। এক চিলতে গলি তারই নাম সুখ তারই অন্ধকারে আমি স্পর্শ করেছিলাম তোমার দিব্য চিবুক— সঙ্গে সঙ্গে শৈলসানু আঁধার হয়ে এল গোলপাতা ছাউনির ঘর শীতরাত্রির স্বপ্ন ক’টি মুড়িসুড়ি দিয়ে বসে গেছে শীলাতল ব্যগ্র হয়ে কেড়ে নিচ্ছে উত্তাপ কোমল দু’জনের থেকে— তোমার চিবুক স্পর্শ ক’রে কতদূর আমরা যেতে পারি এক চিলতে গলি তারই নাম সুখ তারই অন্ধকারে স্বপ্ন থেকে স্বপ্নে প্রস্থান আলবৎ সম্ভব অথবা দুঃখের ভিতর থেকে আরো দুঃখের ভিতর নিয়ে যেতে পারে ভালোবাসা ভালোবাসা মানে কেবলই যাওয়া কোলকাতা রোল করা গালিচার মত কেবলই খুলে যাচ্ছে কেবলই আমাদের পায়ের নিচে ফুরোচ্ছে না। তবু ভালোবাসা ফুরায়ে গেলে আমি অপ্রেম থেকে চলে যাব ব...