অভিজিত গাঙ্গোপাধ্যায় এক তর্কিত সত্ত্বা কিন্তু সভ্য সামাজের নিকট অচর্চিত এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলেই বিবেচিত হবে।

অভিজিৎ গাঙুলি প্রাক্তন বিচারপতি হিসেবে কিছুটা এগিয়ে দাবী করলেও বাস্তবে তা নয়। মাঠে ময়দানে লড়াই করে জনপরিচিতি সেইভাবে অর্জন করতে পারেনি। কারণ তার রাজনৈতিক পরিসর নিতান্ত কম। সর্বস্তরের মানুষ তাকে চেনে না। তাছাড়া বিচারপতি থাকাকালীন তেমন কোন সুরাহ দিতে পারেনি চাকরিপ্রার্থীদের। বরং বারবার হুমকি সুলভ বক্তব্য দিয়েছে,  এবং দিয়ে চলেছে। নিজেকে বিষধর সাপ বলে বাহবা নিতেও পিছু হাটেনি। মানুষ মানুষকে চাইবে সাপকে নয় এটা বোঝা উচিত। তাছাড়া তার বক্তব্য এসেছে সে বিচারক থাকাকালীন রাজনৈতিক যোগাযোগ রেখেছিলেন।  কি ভয়ংকর কথা! বিচারের নামে প্রহসন হল না কি- তা বিবোচ্য হাওয়া উচিত।  একটা সংবাদমাধ্যম তাকে নিয়ে বেশ তর্জায় মেতেছে, আর সে সেই তর্জায় সামিলও হচ্ছে। 
বহু আইনজীবী তাকে নানা বিতর্কে ও প্রশ্নবানে বিদ্ধ করছে চলেছে - যা যুক্তিসঙ্গত। 
হাস্যকর মানুষটা যদি জয়ী হয় তাহলে তমলুকের মানুষ একটা জোকারকে ভারতসভায় প্রতিনিধিত্ব করতে পাঠাল, ঠিক যেমন নুসরত, মিমি ও লকেট ছিল গত নির্বাচনের পর উঠে আসা জোকার, টিকটকার, বা হিংসা বপনকারী নেত্রী। 
মানুষ ভুল করে। বারবার ভুল করে। এবারও হয়ত করবে। কিন্তু অধিকারী পরিবারের হাত ধরেছে তাই হয়ত আশাহত হতেও পারে। কারণ তমলুকে অধিকারী পরিবারতন্ত্রের ত্রাসে মানুষ তস্ত। এনিয়ে দ্বিমত থাকতেও পারে, কিন্তু বাস্তবকে স্বীকার করতেই হবে। 
পরিশেষে, এটাই বলা যায়, অভিজিত গাঙ্গোপাধ্যায় এক তর্কিত সত্ত্বা  কিন্তু সভ্য সামাজের নিকট অচর্চিত এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলেই বিবেচিত হবে। 
Sani

Comments

Popular posts from this blog

Brain Drain

Communal Hermony

Navigating Poverty: Understanding, Impact, and Action